December 23, 2024, 9:04 am
মো.হাসমত উল্লাহ, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটে কয়ক দিনের বর্ষনে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।
গত কয়এক দিন ধরে টানা অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। ভাঙনের মুখে হাজারও একর ফসলি জমি ও অনেক বসতবাড়ি।
লালমনিরহাট জেলার কয়েকটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার পানি বর্তমানে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা পারের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের তথ্য মতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অনেক পরিবার এবং কয়একশ হেক্টর ফসলি জমি তিস্তা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। উজানের ঢলে নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কমপক্ষে কয়ওক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলো আশ্রয় কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
লালমনিরহাটেরকালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের আমিনগঞ্জ চর গ্রামের আব্দুল মান্নান জানান, পানি এখন ঘরের চাল ছুঁই ছুঁই অবস্থা। তবে যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে করে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘর একে বারে ডুবে যাবে। তিনি আরও বলেন গত এক সপ্তাহে নদী ভাঙনে তার ৪বিঘা জমির উঠতি তোষাপাটসহ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের মজনু মিয়া জানান, ইউনিয়নে কমপক্ষে ২ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৫০টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। অনেক পরিবার ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে গেছে ও কিছু পরিবার এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে। আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে গোটা চরাঞ্চলের কমপক্ষে ৫ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন ভাঙন ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় হাজারও পরিবার ভাঙনের সন্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া চরাঞ্চলে চলাচল দূরহ ব্যাপার হয়ে দাড়িছে।